রোজার কাফফারা দেয়ার নিয়ম
রমজান মাস অতি নিকটে, অল্প ক’দিনের মধ্যেই আমাদের নিকট চলে আসবে অতি ফজিলতপূর্ণ এবং ইবাদতের মাস রমজান। এই মাসে অনেকের বিভিন্ন কারণে রোজা কাফফারা হয়ে যায়। তো রোজা কাফফারা দেয়ার নিয়ম টা কি? এই বিষয়টা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
রোজা কাফফারা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, এগুলো যদি আপনার কাছে পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে।
কাফ্ফারা আদায় করার পদ্ধতি ৩টি
- গোলাম আযাদ করে দেয়া।
- গোলাম আযাদে অক্ষম হলে লাগাতার ভাবে ৬০টি রোযা রাখা।
- রোযা রাখতে অক্ষম হলে ৬০জন মিসকিনকে সাদকায়ে ফিতর পরিমাণ খাদ্য দিতে হবে।
আর এই রোযা আদায়ের ক্ষেত্রে তার মাঝে রমযান অথবা দুই ঈদের দিন অথবা তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলো থাকতে পারবে না। তবে কোন কারণে অথবা অকারণে তার মাঝে কোন রোযা ভঙ্গ হয়ে গেলে আবার পুনরায় নতুনভাবে দুই মাস রোযা রাখতে হবে। কিন্তু হায়েয ও নিফাসের কারণে রোযা ভঙ্গ হলে এতে কোন ক্ষতি নেই।
বিঃদ্রঃ কাযা কাফ্ফারা অথবা মান্নতের রোযা ভঙ্গ করার কারণে সর্বসম্মতি -ক্রমে পুনরায় কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না। (মালা-বুদ্ধা-মিনহু)
রোজা না রাখলে কি কাফফারা দিতে হবে?
যদি রোজা না রাখেন এক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। তবে রোজার কাযা আদায় করে দিতে হবে।
রোজার কাফফারা কখন ওয়াজিব?
রোজার কাফফারা বিভিন্ন কারণে ওয়াজিব হয় যেমন ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করা ইত্যাদি। বিস্তারিত জানতে রোজা কখন কাফফারা হবে জানুন।