শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, ফজিলত ও কবে 2024 জেনে নিন
রমজানের শেষ দশকে অনির্দিষ্ট কোন এক বেজোড় রাতে শবে কদর অনুষ্ঠিত হয়। এই রাতকে কেন্দ্র ঘরে অনেকেই গুগলের মধ্যে শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও শবে কদরের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে চাই। আসলে শবে বরাতের নামাজের মত এই রাতে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম আছে কিনা এই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা।
মহান রহমতের মাস রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো শবে কদর। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই রাতে আল্লাহ্র অশেষ রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাতকে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শবে কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
- শবে কদরের নামাজের নিয়ম: লাইলাতুল কদরের জন্য নির্দিষ্ট কোন নামাজের নিয়ম নেই। অন্যান্য নফল নামাজের মত যত ইচ্ছে এই রাতে পড়া যায়।
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত: এ রাতে অন্যান্য নফল নামাজের মত নিয়ত করভে যেমন ” আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেছি”
- শবে কদরের নামাজ কত রাকাত: শবে কদরের নামাজ পড়ার ব্যাপারে তারাবির নামাজের মত কোন নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা নেই। যত রাকাত মন চায় নফল নামাজের নিয়ম অনুযায়ী পড়া যাবে।
- শবে কদরের নামাজ কখন পড়তে হয়: রমজানের শেষ দশকে অনির্দিষ্ট এক রাত যেহেতু শবে কদর। তাই আমাদের উচিত শেষ দশকের প্রতি বেজোড় রাতে শবে কদরের জন্য বিভিন্ন নামাজ এবং ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত হওয়া।
শবে কদরের নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকআত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবর।
নিয়ত অর্থ হচ্ছে দিলের ইচ্ছে বা ইচ্ছে পোষণ করা। সুতরাং আপনি যত রাকাত নফল নামাজ পড়তে চান তার উপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষায় মনে মনে শবে কদরের নামাজের নিয়ত করলেই হয়ে যাবে।
যেমন: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম [নিয়ত, সময়, রাকাত]
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদরের জন্য নির্দিষ্ট কোন নামাজের নিয়ম নেই। তবে এ রাতে যত সম্ভব মনোযোগ সহকারে যত পারবে নফল নামাজ পড়বে। এই রাতে তওবার নামাজ ও সালাতুত তাসবিহ পড়াও অনেক ফজিলতপূর্ণ। নামাজের পাশাপাশি বিভিন্ন দোয়া, জিকির-আজকার ও কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল থাকবে।
এই রাতটা যেহেতু অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং অনির্দিষ্ট। তাই আমাদেরকে রমজানের শেষ দশকের প্রতি বেজোড় রাতে বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে, যেন শবে কদর নসিব হয়।
শবে কদরের নামাজের ফজিলত
একটি হাদিস দিয়ে শুরু করতে চাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে কেউ কদরের রাত্রি থেকে বঞ্চিত হলো সে আসলেই বঞ্চিত হল। কারণ পুরো রমজানের মূল আকর্ষণ হল এই কদরের রাত্র। তাই এই রাত্র থেকে কেউ বঞ্চিত হওয়া মানে সবকিছু থেকে বঞ্চিত হিসেবে ঘোষণা করেছেন আমাদের নবী সাঃ।
এবং রসুলে আরাবি সাঃ আরো বলেছেন রমজানের শেষ দশকে তোমরা কদরকে তালাশ করো। এর মানে ইনশাল্লাহ আগামী সোমবার থেকে যথারীতি প্রত্যেক বেজো রাত্রিতে আমরা কদর তালাশ করব ইনশাল্লাহ।
আর কালামে মসজিদের মধ্যে একক একটি সূরাই রয়েছে সূরাতুল কদর নামে। যার গুরুত্ব বর্ণনা করতে মহান প্রভু পবিত্র গ্রন্থে নাজিল করেছেন এককভাবে।
আল্লাহ বলেছেন লাইলাতুল কদর খাইরুম মিনাল ফিসার -যার অর্থ কদরের রাত্র হাজার মাস থেকেও সেরা।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে কদরের গুরুত্ব বুঝে আমল করার তৌফিক দিক। এবং শেষ বিজোড় দশক তথা ২১-২৩-২৫-২৭-২৯ গুলোতে সমান তালে কদর অন্বেষণ করার তৌফিক দিক আমিন
faq
শবে কদর কবে 2024
আসলে রমজানের শেষ দশকে পাঁচটি বেজোর রাত্রে যেকোনো এক রাত্রিতে শবে কদর হয়ে যেতে পারে। যদিও বাংলাদেশে ২৭ এর রমজান কে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় কিন্তু আমাদেরকে সমান তালে শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে আমল করা চাই যেন কোন ভাবেই কদরের রাত্রিতে মিস না হয়।
শেষ কথা
এই ছোট আর্টিকেলটিতে শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শবে কদর সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন