অযুর ফরজ কয়টি ও কি কি বিস্তারিত
শরীয়তে অযুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে সেই সাথে অযুর ফরজ। অযু ছাড়া নামায হয় না। অযুকারীর অযুর অঙ্গগুলো কিয়ামতের দিন ঝলমল করতে থাকবে।
হযরত মুসআব ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘অযু ছাড়া নামায হয় না এবং আত্মসাতের সম্পদ থেকে সাদাকাহ হয় না।'(সহীহ মুসলিম: ১/১১৯)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন- যার অযু নষ্ট হল অযু করার আগ পর্যন্ত তার নামায হয় না।'(সহীহ বুখারী: ১/২৫)
নুয়াইম মুজমির বলেন- ‘আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তিনি অযুকরলেন এবং বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, তাদের অযুর অঙ্গগুলো ঝলমল করতে থাকবে। অতএব তোমাদের কেউ যদি তার উজ্জ্বল স্থানকে দীর্ঘ করতে চায় সে যেন তা করে। (অর্থাৎ অযুর অঙ্গগুলো নির্ধারিত স্থান থেকে বেশি করে ধৌত করতে পারবে।) (সহীহ বুখারী: ১/২৫; সহীহ মুসলিম: ১/১২৬)
অযুর ফরয ৪টি
অযুর ফরযগুলো নিম্নরূপ-
- চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত গোটা মুখ ধৌত করা
- দুই হাত কনুইসহ ধৌত করা
- মাথার চারভাগের একভাগ মাসেহ করা
- দুই পা টাখনুসহ ধৌত করা
অযু করার সময় এই কাজগুলো যত্নের সঙ্গে করতে হবে। কেননা, এগুলোতে ত্রুটি হলে অযু হবে না। কুরআন মজীদে এসেছে
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের উদ্দেশ্যে ওঠ তখন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথা মাসেহ কর এবং পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত কর। (সূরা মায়েদা: ৬০)