অযুর দোয়া বাংলা ,আরবি উচ্চারণ ও ফজিলত
আমরা অনেকেই অযু সম্পর্কিত অনেক কিছু জানতে google এ সার্চ করে থাকি। যেমন অযুর দোয়া বাংলা, আরবি উচ্চারণ ও ফজিলত ইত্যাদি ইত্যাদি। তো আজ আপনাদের জন্য অযুর প্রায় সবগুলো বিষয় একসাথে নিয়ে এসেছি। যেন খুব সহজেই আপনাদের কাঙ্খিত বিষয়টি পেয়ে যান।
অযু
অযু মুসলমানের একটি দায়েমি সুন্নত যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম থেকে প্রমাণিত। তিনি সবসময় অজুরত থাকতেন। অযু শুধুমাত্র মাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই নয় বরং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সর্বদাই অযু অবস্থায় থাকতে পছন্দ করতেন যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই রসূল সাঃ এর উম্মতে হিসেবে আমাদের উচিত সবসময় ওযু অবস্থায় থাকা।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ অযুর শুরুতে, মাঝে ও শেষে কি করতেন এ বিষয়ে অনেকেরই জানার কৌতুহল। তাই আমরা আজ সেই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ইনশাল্লাহ।
অযুর নিয়ত বাংলা
নাওয়াইতুআন আতাওয়াজ্জাআ লি রাফইল হাদাসি অইস্তিবাহাতা লিছছালাতি অয়া তাকাররুবান ইলাল্লাহি তা,য়ালা।
অর্থঃ আমি নাপাকি দূর করার জন্য অজুর নিয়ত করছি। আল্লাহ তাআলার জন্য বিশুদ্ধর রূপে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে।
অযুর দোয়া বাংলা উচ্চারণ সহ
অযুর পূর্বের দোয়া
অযুর পূর্বে প্রচলিত অনেক দোয়া থাকলেও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হলো শুধু বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া। যা আবু দাউদ, তিরমিজি সহ আরো অনেক কিতাবে সুস্পষ্ট।
শুধু ওযু নয় প্রত্যেকটা শুভনীয় কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া উত্তম। কাজেই আমরা যে কাজই করি না কেন অবশ্যই বিসমিল্লাহ এর সহিত শুরু করব।
অযুর মাঝের দোয়া
আল্লাহুম্মাগফিরলি জাম্বি, অ অসসিলি ফি দারি অ বারিক্লি ফি রিজকি।
অর্থঃ হে আল্লাহ আমার গুনাহ গুলো মাফ করে দাও। এবং আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিজিকের মধ্যে বরকত দাও।
রাসুল সাঃ অজুর অঙ্গ ধোঁয়ার মাঝে মাঝে উল্লিখিত দোয়াটি পড়তেন।
অযুর শেষের দোয়া
আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু অ আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়ারাসুলুহু।
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল।
রাসুল সাঃ অযু শেষ করে কেবলামুখী হয়ে কালিমাতুশ শাহাদাত পাঠ করতেন এবং নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়তেন।
অজুর দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুমাজআলনি মিনাত্তাওয়াবিনা, অজালানি মিনাল মুতহহিরিন। (মিশকাত-তিরমিজি)
অর্থঃ হে আল্লাহ আমাকে তওবা কারীদের অন্তর্ভুক্ত করো। এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের সাথে শরিক করো।
অযুর ফজিলত
ওপর উল্লেখিত নিয়মে কোন ব্যক্তি যদি ওযুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে। রয়েছে অনেক ফজিলত। যার ফলে একজন মুমিনকে নেককার বান্দায় পরিণত করে দেয়।
১/ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অজুকারির অজুর পানির সাথে তার জিবনের ছগিরাহ গুনাহ গুলো ও জরিয়ে দেন।
২/ তিরমিজি শরীফের হাদিস হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন নামাজ যেমন বেহেস্তের চাবি ঠিক অজু নামাজের চাবি।
৩/ অন্যত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন কেয়ামতের দিন ওযু কারীর হাত-পা ও মুখমন্ডল উজ্জ্বল থাকবে।
৪/ হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে একটি হাদিস বর্ণিত একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম একটি কবরস্থানে এসে কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে বললেন তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। অতঃপর বললেন হে কবরবাসী মুমিনরা, ইনশাল্লাহ আমরা তোমাদের সাথে এসে মিলবো। আমার বড় ইচ্ছে হয় আমাদের ভাইদের দেখি। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ তবে আমরা কি আপনার ভাই নই?
রাসুল সাঃ বললেন তোমরা তো আমার সাহাবা। আর যারা আমাদের পরে পৃথিবীতে আসবে তারা আমাদের ভাই। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ যারা এখনো দুনিয়াতে আসেনি আপনি তাদেরকে কিভাবে চিনবেন?
তিনি বলেন যদি কারোর সাদা রঙ্গের কপাল ও সাদা রঙের হাত-পা বিশিষ্ট ঘোড়া কিছু কালো ঘোড়ার সাথে মিশে যায় সে কি তার ঘোড়া চিনতে পারবেনা? উপস্থিত সাহাবারা বললেন জি হা। রসূল বললেন আমার উম্মত অযুর ফলে তাদের মুখমণ্ডল ও হাত-পা জ্যোতির্ময় হবে।
৫/ এছাড়া যদি কোন ব্যক্তি যদি অজুরত অবস্তায় মারা যায় তার জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ।
তাই আমরা সবসময় ঐতিহ্য অবস্থায় থাকতে সচেষ্ট থাকব ইনশাআল্লাহ।
শেষ কথা
আমরা যথার্থ চেষ্টা করেছি অযুর দোয়া বাংলা,আরবি উচ্চারণ ও ফজিলত সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ একটি আর্টিকেল লেখার জন্য আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে আসবে।
Assalamualaikum vaiya.. Kmn achen vaiya.. Potome porom Allah name soron korci.. Joto tuku apni janen amdr majo jananor j9 sukriya.. Dowa roilo apnr j9 aro kicu janate paren moto sbyr maje.. Amr bul hoi aj k teke suddo kora sika nilam.. Donnobad vaiya apnak.. Vlo takben susto takben.. Assalamualaikum vaiya.. ❤️❤️